Welcome to my blog!

Meet the Author

Ut eleifend tortor aliquet, fringilla nunc non, consectetur magna. Suspendisse potenti.

Looking for something?

Subscribe to this blog!

Receive the latest posts by email. Just enter your email below if you want to subscribe!

Subscribe:
    মন চায়, সব কিছু ছেড়ে-ছুঁড়ে চলে যাই বহু দূরে, না আসি কভু ফিরে অমানবিক এ শহরে। -----মোঃ জসিম উদ্দিন .
স্বল্পমূূল্যে ইউনিক লোগো তৈরি করুন। যোগাযোগ: ০১৬৭১-৬৯৪৪০০

Thursday, April 10, 2014

বিস্ময়কর স্থাপত্য



বাংলাদেশের সংসদ ভবন ll

সংসদ ভবন প্রয়াত প্রখ্যাত স্থপতি প্রফেসর লুইস আইকান এর ডিজাইন অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের সুরম্য ও সর্ববৃহৎ ভবন ঢাকার শেরে বাংলা নগরস্থ জাতীয় সংসদ ভবন। প্রফেসর কাহনের মৃত্যুর পর আমেরিকার মেসার্স ডেভিড উইসডম অ্যান্ড এসোসিয়েটেডের স্থপতি মিঃ হেনরি এ উইল কটস এর পরবর্তী কাজ সমাধা করেন। জাতীয় সংসদ ভবনের সটাকচারাল ডিজাইন করেন স্থপতি হেরি এস পালম বাম।
২১৫একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ কমপ্লেক্সের ভিতর রয়েছে মূল সংসদ ভবন, সংসদ সদস্যদের হোস্টেল, আবাসিক এলাকা, লেক,বাগান ও রাস্তা,ব্যাংক টেলিফোন একচেঞ্জ,চিকিৎসা কেন্দ্র,ক্যাফেটেরিয়া,ডাইনিং হল, লাইব্রেরী,মিডিয়া সেন্টার ইত্যাদি।১৫৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট মূল ভবনটির পুরো কংক্রিটের ঢালাই,২৫লাখ ঘনফুট, প্লিনথ এরিয়া ৬লাখ ২৭হাজার ঘনফুট। প্যাসেজ ও চলাচলের এলাকা ২লাখ ৮৭হাজার বর্গফুট, টয়লেট ইত্যাদি ৯০হাজার বর্গফুট। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এলাকা ৪লাখ ৮৬হাজার ঘনফুট।
এ পর্যন্ত (১৯৮৬সাল)১৯৭ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৬৪সাল থেকে।বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়েছে ৪কোটি টাকা।এছাড়া ১৯৭৬সালে ৩৩কোটি ৯২লাখ টাকা, ১৯৮০সালে আরও ৮৪কোটি ৩৫লাখ টাকা অনুমোদিত হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনের মূল কক্ষ-সংসদ কক্ষ। এই কক্ষে রয়েছে ৩৫৪টি আসন।অতিথিদের আসন রয়েছে ৫৬টি।সাংবাদিকের জন্যে ৪০টি এবং দর্শকদের জন্য ৪৩০টি আসন রয়েছে।
এছাড়া রয়েছে তিনটি পার্টি কক্ষ।এগুলোতে আসন সংক্ষা হল ১৫৩টি এছাড়া মিডি রয়েছে ৫০টি, টয়লেট আছে ৩৪০টি। লিফট আছে ১৮টি। জাতীয় সংসদ ভবনে দরজার সংক্ষা হল ১৬০৫টি।জানালার সংক্ষা হল ৩৩৫টি এবং গবাক্ষ ৩৬৫টি। 
৯ তলা বিশিষ্ট এই অতিকায় ভবনের করিডোর হলো ৪১.৬০ কিলোমিটার (২৬মাইল লম্বা) একজন মানুষ পুরো  করিডোর হাঁটতে গেলে কমপক্ষে ২দিন সময় লাগবে।গাইড ছাড়া হাঁটলে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।১৯৬৪ সাল থেকে শুরু হয় এর নির্মাণ কাজ। বিপুল টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই সংসদ ভবনের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ খরচ হয় ৫ কোটি টাকার মতো। ১৯৮২ সালের ২৮শে জানুয়ারি তারিখে এই ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোদন করেন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।এই নবনির্মিত সংসদ ভবনে প্রথম অধিবেশন বসে ১৯৮২ সালের ১৫ই ফ্রেব্রুয়ারী।  গোঁটা ভবনই হলো কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। জাতীয় সংসদ ভবনটি কৃত্রিম হৃদ দ্বারা বেষ্টিত।সকালে বিকালে সেখানে পড়ে ঐ ভবনের প্রতিচ্ছবি। দক্ষিন পূর্ব এশিয়া তথা সারা বিশ্বের সবচাইতে উল্লেখযোগ্য পার্লামেন্ট ভবন গুলোর মধ্যে এটি শ্রেষ্ঠ ও সর্বাপেক্ষা কারুকার্যময়।

0 comments:

Post a Comment

কিছু কথা

নতুন লেখক/লেখিকাদের লেখা প্রকাশের একটা মাধ্যম তৈরীর উদ্দেশ্য নিয়ে এই সাইটটির কাজে হাত দেই। অনেক নতুন মুখের সমাবেশে মুখোরিত এই সাইটটি আরও বিস্তিৃতি লাভ করবে, আরও অনেককে লেখা প্রকাশের সুযোগ করে দিতে পারবো এই উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করে চলেছি ।

আন্তর্জালে হাতেগুনা কয়েকটি ওয়েব সাইট এবং কিছু ফেইসবুক পাতা ছাড়া এখনো তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মাধ্যম তৈরী হয়নি লেখা প্রকাশের জন্য।

যদি কেউ তার নিজের লেখা কবিতা, গান প্রকাশে ইচ্ছুক হন তাহলে লিখাগুলো এই ইমেইল এ পাঠিয়ে দিন----- bicoronblogspotcom@gmail.com

আমাদের লক্ষ্য নতুন লেখক/লেখিকাদের লেখা প্রকাশের এই মাধ্যমটিকে আরো শক্তিশালী করে তোলা। আপনাদের সহযোগিতা কাম্য এই প্রয়াসে।

ধন্যবাদান্তে--বিচরণ