Welcome to my blog!

Meet the Author

Ut eleifend tortor aliquet, fringilla nunc non, consectetur magna. Suspendisse potenti.

Looking for something?

Subscribe to this blog!

Receive the latest posts by email. Just enter your email below if you want to subscribe!

Subscribe:
    মন চায়, সব কিছু ছেড়ে-ছুঁড়ে চলে যাই বহু দূরে, না আসি কভু ফিরে অমানবিক এ শহরে। -----মোঃ জসিম উদ্দিন .
স্বল্পমূূল্যে ইউনিক লোগো তৈরি করুন। যোগাযোগ: ০১৬৭১-৬৯৪৪০০

Monday, June 30, 2014

পলাতকা ।।

bangla poem

হৃদয় যা বোঝে, না পারিলাম বোঝাতে
মনের গভীর রঙে পারিনিকো সাঁজাতে
আমার ফিরে পাওয়া প্রিয়ারে।
পলাতকা, হাসে-কাঁদে ঘোর লাগা কবিতায়
বুকের গহীন কোনে আদিম এক মমতায়
ভাঙ্গিয়া আবার গড়ে কাহারে!

প্রেম,মরে মরে বেঁচে রয় আদিম খেলায়
হাসির আড়ালে খুঁজিয়া, প্রেম সে কোথায়,
কেমনে বিধাতা রেখেছে লুকায়ে!

চিনচিনে ব্যথা জাগে ভাবনার দেয়ালে
কেন সে ভাঙ্গে গড়ে আপনার খেয়ালে
বুকের তুরাগ হায় যায় যে শুকায়ে!

দেখেও দেখেনা সে, বুঝি এই তার ছল
খুলিয়া দিয়াছি তবু মনের আগল
সুহাসিনী থাকুক জুড়িয়া।

আঁধারে পথ চলা চাঁদ খুঁজে আকাশে
ফিসফিস কথা বলে কে যেন বাতাসে,
হৃদয়ের বড়ো কাছে আসিয়া!

.............মোঃ জসিম উদ্দিন

উত্তরা
২৯ জুন ২০১৪

জীবন ।।

bangla poem

ওপারে সবাই হাসছে, তীব্র শোরগোল;
এপারে শান্ত নদী আর মরা গাঙের চর,
স্তব্ধ আগ্নেয়গিরি' জালামুখ উগলে দেয়
বিশ্রীত্বের এক নিকষ কালো থাবা
এগিয়ে আসছে অতি তীব্র বেগে;
শ্রান্ত পথিক ভয়ার্ত চোখে তাকায় চারিপাশ,
চতুর্দিকে সময় আর নিয়মের পাথর দেয়াল
কার যেন আর্ত চিৎকার, "বাঁচাও,বাঁচাও;
আমাকে মেরোনা, আমি বাঁচতে চাই; ওরা আমাকে..."
মৃত পড়ে আছে আবেগের লাশ
কোথাও কেউ নেই; না, কেউ নেই।
কারখানার চিমনি চুলায় লেলিহান জিহবা বিশিষ্ট আগুনের ফুলকি
খুবলে খাচ্ছে লোহিত কণিকা হৃদয়ের মাটি খুরে খুরে!
বাজখাই নিনাদ শিঙার ফুঁৎকারে আসছে
ধেঁয়ে কিয়ামত,
ভাবতে ভাবতে চোখ দু'টো ঝাপসা হয়ে আসে;
নিরুত্তর আর নিরুত্তাপ কণ্ঠ
"ওপারে কেন এত্তো ভৈরবী তাল?
কেন ে কান্নায় ভেসে যায় নকুলের জীবন? কেন?"
কে যেন বললো কানে কানে শিস দিয়ে, "তুমিও পালাও, ওপারে পালাও।"
বাউল সুর তোলে লাউয়ের খোলে,
"তোমাতে আমার তুমি তোমাতেই রও"
    
.........................................মোঃ জসিম উদ্দিন
সোবহানবাগ
১৮ মে ২০০৪

Tuesday, June 24, 2014

খুঁজোনা আমায় ।।

bangla poem

হারিয়ে গেলেআঁধারো অরণ্যে
প্রিয় বন্ধুআমার, খুঁজোনা আমায়;
বৃষ্টির জলশুকায়ে গেলে, কে তাহারে
আর খুঁজিয়া বেড়ায়? খুঁজোনা আমায়!
আলো মরিয়াগেলে ছায়া তার মাড়াবে
কে বলো, মৃতপ্রায়নগরীতে?
তুমিও ভুলিয়াযাবে পত্রঝরা ঋতুর মতো
বসন্ত আসিলে তোমার ও দুয়ারে,
মুছে দেবে সবস্মৃতি লুকায়ে যা ধমনীতে!
মিছেই ভাবিছোআজি ঝরায়ে অশ্রুধারা
প্রিয়হারা কে রাখিছে মনে অতীত কথন
গোল্ডফিশ হয়ে মুছে সব স্বপ্নের জ্বালাতন
মরুতার দিগন্তে একফোঁটা অশ্রুজল,
কতটুকু হৃদয় আর সিক্ত  করে?
বৃথা কেন তবে এপারে বসে ওপারে আমায় পোড়াবে?

প্রিয় বন্ধু আমার, খুঁজোনা আমায়

এই বর্ষায় নিজেকে সুস্থ রাখুন।।

LIFE STYLE


আষাঢ়ের বৃষ্টি আর সেই সঙ্গে একরাশ রোগবালাই এই নিয়ে আসে বর্ষা মৌসুম। জ্যৈষ্ঠের প্রখর তাপদাহের পর প্রকৃতিতে প্রশান্তি ছড়িয়ে দেয় বর্ষাকাল। দিন-রাত কিংবা হঠাত্ হঠাত্ আকাশ কালো করে ঝরে পড়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই চলতে হয় কর্মব্যস্ত মানুষদের। তবে বৃষ্টি বলে তো আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না। কর্মজীবী বা শিক্ষার্থী সবাইকেই বাইরে বের হতে হয় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। বর্ষার এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় জামা-জুতা থেকে শুরু করে খাবার-দাবার সব কিছুতেই কেমন যেন একটা ড্যাম ভাব চলে আসে। আর এই সুযোগে শরীরে বাসা বাঁধতে চায় নানা অসুখ-বিসুখ। সর্দি, কাশি, জ্বর, টাইফয়েড, কলেরা, হজমের সমস্যা, জণ্ডিস, ফুড পয়জনসের রোগগুলো খুব দ্রুত দেখা দেয়। তাই এ সময় ঘরদোর থেকে শুরু করে নিজের খাওয়া-দাওয়ারের প্রতি বাড়তি সচেতনতা মেনে চলা জরুরি। চলুন তবে জেনে নিই সুস্থ থাকার কিছু টিপস।
১. প্রচুর পানি পান করুন : গরমকালে ঘাম বেশি হয় বলে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়। তাই প্রচুর পানি পান করতে হয়। কিন্তু বর্ষাকালেও কেন বেশি পানি পান করতে হবে? উত্তরটা খুব সহজ। গরমকালের মতো বর্ষা মৌসুমেও শরীরে প্রচুর ঘাম হয়। কিন্তু এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় বাতাসে ভেজা ভাব থাকে। এতে শরীর থেকে ঘাম বেরিয়ে যায় না। কিন্তু শরীরে এক ধরনের ভেজা ভাব বজায় থাকে। তাই এ সময় সুস্থ থাকতে বেশি করে পানি পান করতে হবে। সেই সঙ্গে খেতে পারেন শরবত, তাজা ফলের জুস, লেবুর

Sunday, June 22, 2014

গান-০৬ ।।

Bangla Lyrics

নীড়হারা পাখির মতন
আশ্রয় খুঁজে ফিরি পৃথিবীর বুকে
ঝড়ে ভেঙ্গে গেছে বালুকায় বাঁধা ঘর
গুনছি প্রহর তাই ধুঁকে ধুঁকে...

সমাজের বেড়াজালে বন্দি আমার প্রেম
চায়না কেউ মেনে নিতে
সময়ের জেলে বাঁধা এ জীবন
তুমি ছাড়া চায়না আর কিছু পেতে
শত ব্যথা-বেদনায় হলাম আজ অসহায়
পাশে কী রবেনা সুখে-দুঃখে?...

বিরহের এই পলে যায় তাই মন জ্বলে
চারিদিকে অথই যন্ত্রণা
চাতক পাখির মতো খুঁজে ফিরি তোমাকে
ও বুকে টেনে কী নেবে না?
হৃদয় আজ অসহায় সুখ বলো কোথা পায়
দূরে যদি রাখো আমাকে?...

    ...........জসিম উদ্দিন


চট্টগাম কলেজ
২১ জানুয়ারি ২০০৩

গান-০৮ ।

Bangla Lyrics

সবা্‌ই আপন ছাইড়া গেল,
       মায়ার বাঁধন থুইয়া;
তুইও কী রে ছাইড়া যাইবি,
      উজান গাঙের নাইয়া?
দরদি তুই আড়াল গেলে,
         বাঁচুম কারে লইয়া?
ভাঙ্গা বুকে নাঙ্গা ব্যথা
    নাও কেমনে যামু বাইয়া?

অন্ধকারে পথ হাবাইয়া
              খুঁজি পথে পথ
যুগল হারা কান্দি একা
           এমনি জীবন রথ
প্রবোধ যে আর মানেনা মন
         কা্ন্দে পরাণ-হিয়া।

তোর কাবণে সব হারাইয়া
            কান্দি পাগল বেশে
আকাশ-বাতাস ছিঁইড়া খুঁজি
              ঘুইরা দেশে দেশে
তোর কারণে গেলাম আমি
            হাজার দুঃখ সইয়া।

   .......জসিম উদ্দিন

চট্টগ্রাম কলেজ
৩০/০৯/ ২০০৩

গান-০৭ ।।

Bangla Lyrics

অনেক কষ্ট বুকে, বেদনায় দিন কাটে
              তবু তুমি ফিরে এলেনা
আজকে তোমার গায়ে হলুদ, কাল যে তোমার বিয়ে
               তবু অভিশাপ দেবো না...

(...) কবিতা, আমার কবিতা
কী সুখে দিয়ে গেলে ব্যথা?

প্রতিটি ক্ষণ যেন মহাকাল
             বয়ে যাওয়া
বেহালা নির্বাক,একাকী
            গান গাওয়া ।
শুভ হোক তোমার নতুন জীবন
করে যাবো তবু এই কামনা......

কত সুখ স্বপ্নে গড়া
               এ ভালবাসা
বুকটা জুড়ে আজ শুধু হাহাকার
প্রেম মানে তবে কী শুধু হতাশা?
ফুলে ফুলে ভরে থাক তোমার ভুবন
আমি না হয় বেঁচে রবো নিয়ে বেদনা....

  ...............জসিম উদ্দিন

চট্টগ্রাম কলেজ
২৪/০১/২০০৩

হৃদ ভুবনের অধীশ্বর ।।

bangla poem

(পল্লীকবি জসীম উদদীন স্মরণে)

হে মহাজ্ঞানী, মহান পুরু(ষ),
আমি শিষ্য, তুমি গুরু,
কী দিয়ে করবো শুরু
কাপছে এ বুক দুরুদুরু
আজকে তুমি বহুদূর।

শেখালে কী মন্ত্র তুমি, শেখালে কী ছল
কর্মে আমার মেশানো যে তোমারই আদল
তুমিহীনা এ মনে যে পাইনে কোন বল
কাব্যে তুমি চির নায়ক, আমি হলাম খল
যতো দূরে থাক, তবু রবে হৃদয়পুর।

তোমার দেয়া চিন্তাধারা হয়ে ফোঁটে ফল্গুধারা
তার বানেতেই কাব্য রচি, আলোর প্রদীপ সন্ধ্যাতারা
অন্তরে যেই পাই গো আমি তব ইশারা
ছোটে তখন কাব্যদেবী হয়ে পাগলপারা
হৃদ মাঝারে থাকলে প্রভু,  চাইনে ভেস্ত হুর।

আজ অনেকেই মিথ্যে দোষেই দোষে
তবু বাঁচি গুরু তোমার দীক্ষা

নিশিকন্যা ।।

bangla poem


নিজেরে লুকায়ে রাখো সখি,
আঁধার যে আসিছে ঘনায়ে্।

তোমা তরে কান্না উছলি ওঠে,
কালের নয়ন তলে রেখেছে বাঁচায়ে।

তোমারে দংশিতে ফনা তোলে সে
যে তোমারে পলে পলে যায় খুবলায়ে।

হাসিওনা হাসিওনা সখি,
ঝড় কী কাউকে আসে জানায়ে?

কেনই বা মিছে ভাবিছো বসে?
সময় যে সখি যায় ফুরায়ে।

কে লভিতে পারে সর্পমনি,
নাগরাজ এলে কভু ফনায়ে?

নিজেরে লুকায়ে রাখো সখি,
আঁধার যে আসিছে ঘনায়ে্।

হিজলের বনে অরোরা পালায়,

আংশিক ভিজে আছে সন্ধ্যাতারা ।।

bangla poem

আলো আর আঁধারের গোধূলি বেলা
শিশিরের ন্যায় ঝরে বৃষ্টিধারা
ভেজা কাক ঘরে ফেরে দিশেহারা
ক্ষয়ে ক্ষয়ে ডুবে যায় আলোর ভেলা।

কুয়াশার ধোঁয়াশায় সাঁজে চারিপাশ
বিধবার শ্বেতী রোগ, করে আবাদ
মেঘেরা আকাশ ঢাকে, খনার প্রবাদ
প্রকৃতি ঝিমায় বসে, জীবন্ত লাশ।

মৃতপ্রায় নগরীতে প্রাণের ধারা
এই আছে, এই নেই লাজুক আলো
শুভ্রতা এক কোনে, সব করে কালো
আংশিক ভিজে আছে সন্ধ্যাতারা।
                .........
জসিম উদ্দিন 
উত্তরা
২২ জুন ২০১৪

Saturday, June 21, 2014

চলে যাও ।।

bangla poem

তুমিও চলে যাও তবে শ্রাবণের হাত ধরে,
থেকোনা চিরহরিৎ হরিণী সেজে, বসন্ত গিয়াছে চলে;
তুমিও থেকোনা প্রেমের গরল গিলে, আশৈশব আবেগে
অর্ফিয়াস সুর তোলেনা তানসেনের ঢালে,
তোমার রুমাল ক্ষয়ে যাক হৃদয়ে আমার
যেমন ঈনিসের কামনার তরবারি ডিডোর
ভিতর-বাহির শুদ্ধ করে অগ্নিস্নানে;
প্রেম ছিল কবে কোথা রামের মনে?
কৃষ্ণরা আজও আসে রাধার ঘরে অন্ধকারে
গোয়ালিনীর নয়ন জলে; আঁতুড় ঘরে প্রেম অতি উত্তম
চন্ডিদাশের বড়শির ছলে।
জোলেখা হৃদয় পোড়েনি কি য়ূসুফে জ্বলে?
কোন অপরাধ ছিল দ্রৌপদীর? শকুনির কামার্ত নীল চোখে

যদি কভু এমন হতো ।

bangla poem

যদি তোমার সাথে গল্প করেই কাটিয়ে দিতাম লক্ষ বছর
যদি তোমায় চেয়েই কাটতো আমার অষ্টপ্রহর
যদি এমন হতো তুমি আমি এক শহরে
যদি এমন হতো দিনের শেষে ক্লান্ত দেহে একই নীড়ে
যদি তুমি আমি দু'জন মিলে জ্যোৎস্নাস্নানে এমন হতো
ঝাউয়ের বনে রাত্রি যাপন পূর্ণিমাতে, মুছে দিয়ে ক্লান্তি যতো
যদি খুব নিশিতে সমুদ্রঝড়, আমরা দু'জন একলা দ্বীপে
আকাশভেঙ্গে বৃষ্টি নামে, বুকের পরে মুখ লুকিয়ে উঠছো কেঁপে
যদি গন্ধে আমার মাতাল তুমি, আমায় নিয়েই কাব্য লেখা
এমন হতো অনেক কাছে তবু তোমায় যায়না দেখা
যদি দূর পাহাড়ে মেঘের মেলায় আমরা দু'জন
বৃক্ষছায়ে শুনছি বসে রাখাল ছেলের বাঁশির কুজন
যদি এমন হতো আমরা ভুলে হারিয়ে গেছি এমাজনে
বিশ্বজোড়া রোল পড়েছে হারানো বিজ্ঞপ্তি টেনে
যদি এমন হতো কুরুক্ষেত্রে আমরা দু'জন যুদ্ধ ভুলে গল্পে রত
সংসারেতে বইতো শুধু সুখের হাওয়া অবিরত
ভালবাসার শীতল ছোঁয়ায় মুছে দিতে সকল ক্ষত
যদি কভু এমন হতো!
এমন হতো!

         ............................জসিম উদ্দিন


উত্তরা
৩১ মে ২০১৪

কিছু কথা

নতুন লেখক/লেখিকাদের লেখা প্রকাশের একটা মাধ্যম তৈরীর উদ্দেশ্য নিয়ে এই সাইটটির কাজে হাত দেই। অনেক নতুন মুখের সমাবেশে মুখোরিত এই সাইটটি আরও বিস্তিৃতি লাভ করবে, আরও অনেককে লেখা প্রকাশের সুযোগ করে দিতে পারবো এই উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করে চলেছি ।

আন্তর্জালে হাতেগুনা কয়েকটি ওয়েব সাইট এবং কিছু ফেইসবুক পাতা ছাড়া এখনো তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মাধ্যম তৈরী হয়নি লেখা প্রকাশের জন্য।

যদি কেউ তার নিজের লেখা কবিতা, গান প্রকাশে ইচ্ছুক হন তাহলে লিখাগুলো এই ইমেইল এ পাঠিয়ে দিন----- bicoronblogspotcom@gmail.com

আমাদের লক্ষ্য নতুন লেখক/লেখিকাদের লেখা প্রকাশের এই মাধ্যমটিকে আরো শক্তিশালী করে তোলা। আপনাদের সহযোগিতা কাম্য এই প্রয়াসে।

ধন্যবাদান্তে--বিচরণ